কী ভীষণ প্রশান্তি নিয়ে আমি লিখছি

কী ভীষণ প্রশান্তি নিয়ে আমি লিখছি তা কি তুমি জানো? জানেন আমার আজকের দিনটা আমার জন্য কতটা স্মরণীয়। কারণ, আজ আমি তোমার দেখা পেয়েছি! আজ যখন ফাল্গুণের হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে আমি অশ্রুবর্ষা ঝরিয়ে দিচ্ছিলাম স্মৃতিমঞ্চ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, তখনো জানতাম না আর অল্প কিছুদূর পেরুলেই তোমার দেখা পাবো! একটা দশক আমাকে অপেক্ষায় রেখে তুমি এলে অবশেষে। অপেক্ষার প্রহরগুলো কতটা তীব্র হয়, তুমি তো জানতে!

তুমি আমার জীবনের ঐশ্বর্য, আমার হৃদয়ের রক্তিম আলপনা। তুমি তো সত্যিই মরুর বুকে ফুল জন্মে দেওয়া এক মহামানবী। তোমার স্মিগ্ধতা আর নিষ্কলুষতার স্পর্শে আমি ধন্য হয়ে আছি, থাকবো প্রতিদিন। ভাবিনি কখনো পথচলতে তোমার দেখা পাবো। বুঝিনি তোমার জন্য আমাকে একটা দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে, ভাবিনি তুমি আমার পড়ে থাকা অবহেলিত হৃদয়ে এভাবে প্রাণসঞ্চার করবে; তুমি আমায় পুনরুজ্জীবিত করবে! হৃদয়শীতলকরা ভালোবাসার অনুভূতি যা তুমি আমার মাঝে জাগিয়েছ, তার বিনিময়ে আমি তোমাতে মুগ্ধ রবো অনন্তকাল।

আচ্ছা, তুমি কি জানো একযুগ আগে ঝুম বৃষ্টির সময় আকুল হয়ে কেঁদে হারিয়েছিলাম, আজকের বর্ষণে সেই হারানো রত্ন আমি সম্ভবত ফিরে পেয়েছি। জীবনের বড় একটা অংশ পেরিয়ে এসেছি, মরতে মরতে বেঁচেও গেছি। আমি বুঝিনি এতটা ঝড়-ঝাপটা পেরুতে হবে। আমায় তুমি একলা ফেলে যেয়ো না আবার!

ইদানিং, হারানোর ভয় তো খুব তীব্র, ঠিক যেমন অপেক্ষার মাঝে থাকার। আমি তোমার হৃদয়ের পবিত্রতায় সিক্ত হয়েছি বলেই হয়ত আজ লেখার প্রেরণা পাচ্ছি। আমি হয়ত অনেক বছর পর লিখতে চেষ্টাও করছি তোমার সাথে এই দেখা পাওয়ার অনুপ্রেরণায়। আমি তো শেষমেষ লিখতেও ভুলে গিয়েছি! তবু লিখছি আজকের দিনটাকে স্বরনীয় করে রাখতে। আমায় তুমি পূর্ণ করো, আমি স্বার্থপরের মতন করেই তা চাইবো!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ত্রিপরাদের ঐতিহ্যবাহী একটি তীর্থ ভ্রমন মাতাই পুখিরি